How Much You Need To Expect You'll Pay For A Good ব্যর্থ প্রেমের গল্প

আমার দেশ আমার গ্রাম

তুই আজকে জীবনের অনেক বড় ধরণের অন্যায় করে ফেলেছিস। আজকে তুই সত্যিকারের ভালোবাসাটাকে হারিয়ে ফেললি।

এরপর ম্যাসেজের পাশাপাশি লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করাও শুরু হয়, তবে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা নয়, হাঁতে গোণা কয়েক মিনিট। হ্যাঁ এতেই শান্তি, অন্তত প্রিয়জনের গলার আওয়াজটা শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। আবার কোনো কোনো দিন এমনও হয়েছে, যে একবারও কথা হয়নি। কি ভেবেছেন সে মুখ-গোমড়া করবে, উঁহু সে, রাগ করার পাত্র নয়। যে আমার জন্য অতগুলি দিন আমার পেছনে ঘুরেছে, সে আমার উপড়ে এই সামান্য বিষয়ে রাগ করবে, তা কি কখনো হয়?  

স্কুলে কি কি পড়েছিলাম তা আজ সবটা মনে না থাকলেও স্কুল লাইফের কাটানো সেরা মুহূর্ত গুলো আজও স্মৃতির পাতায় তাজা।

এই বলে রক্তিম সেখান থেকে সাথে সাথে বাইরে চলে আসে। আর এসেই পেটের কাছে শার্টটা সরিয়ে দেখে যে সেখান থেকে সমানে অনেক রক্ত গরিয়ে পরছে। তাই সাথে সাথে সে সেই জায়গাটা হাত দিয়ে চেপে ধরে আর মনে মনে শুধু হাসে বলে হায়রে মানুষ ‘আমার ভালোবাসাটাকে বুঝলো না। তারপর হঠাৎ মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে।

এর পরের দুই দিন আমি একটু লুকিয়ে লুকিয়ে থাকলাম। পারতপক্ষে তার সামনে পড়তে চাই না বলে খুব সাবধানে চলাফেরা করতাম। তবে আড়াল থেকে more info তার উপর ঠিকই নজর রাখতাম। খেয়াল করলাম সে তার  সমস্ত কাজের ফাঁকে এদিক-ওদিক তাকিয়ে কি যেন খোঁজেন মাঝে মাঝে। “উনি কি আমাকে খুঁজেন”? এটা ভেবেই আমি শিহরিত হয়ে যাই মনে মনে।

আর সেটা দিশা কিছুদিন যাবার পর বুঝতে পারে। এদিকে রক্তিম আবার দিশাকে লুকিয়ে লুকিয়ে ফলো করতে করতে ওর উপর দূর্বল হয়ে পরে। এক সময় দিশাকে ভালোবেসে ফেলে। তো একদিন মনে অনেক সাহস নিয়ে যখন দিশার সাথে কিছু কথা বলতে যাবে তখনি ঘটে আরেক বিপক্তি। কে জেনো কার হ্যান্ডব্যাগ চুরি করে পালাচ্ছিলো। তাও আবার রক্তিমের সামনে দিয়ে। তাই রক্তিম সবার চিত্কার শুনে সাথে সাথে যে ব্যাগটা চুরি করেছে ওকে ধরার জন্য ওর পিছন পিছন দৌড় দেয়ে। এবং একসময় সে দৌড়ে চোরটাকে ধরেও ফেলে।

জানিস না। সেদিন ডাক্তার তোর রিপোর্ট গুলো দেখে আমাদের সাইটে নিয়ে গিয়ে কি বলছিলো তা জানিস তুই না সেটাও হয়তো বা তুই জানিস না। সেদিন ডাক্তার আমাদের তারকেবিনে নিয়ে গিয়ে যা বলেছিলো তা শুনে আমি ও তোর আব্বু প্রায় দুই জনি অনেক ভয়পেয়ে গেছিলাম। সেদিন ডাক্তার আমাদের তারকেবিনে নিয়ে গিয়ে বলে যে তোর নাকী দুটো কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে। তবে একটা এখনো পুরো পুরি নষ্ট হয়নি।

তাই আর সেদিন তোমায় কিছু না বলে চলে এসেছিলাম। কিন্তু বাসায় আসার পর বার বার শুধু তোমার চেহারাটাই চক্ষের সামনে ভেসে আসছিলো। তাই আগে যেই কলজে স্টাডি করতাম সেই কলেজ থেকে টি.

কষ্টের ভালবাসার গল্প – ধোঁকা ও করুণ পরিণতি

যাইহোক, দুইদিন পর , ডাক্তারের চিকিৎসায়, মা খালা মামিদের সেবায়, আত্মীয় পরিজনদের দোয়ার বরকতে আল্লাহর রহমতে নানী একটু একটু করে সুস্থ হতে লাগলেন। সবার মনের আশঙ্কা আস্তে আস্তে কাটতে লাগলো। নানি ও স্যালাইনের বদলে একটু একটু করে তরল জাতীয় খাবার মুখে খেতে লাগলেন। একটু একটু কথাও বলতে লাগলেন। সবার মনেই স্বস্তি ফিরে এলো। আমাদেরও নানাবাড়িতে স্বাভাবিক জীবন ফিরে এল। 

বড় খালা দরজার বাইরে মুখ বের করে তাকে ডাকলেন।

অসমাপ্ত-ই থেকে যায় জীবনের মূল্যবান আকাঙ্খা।

.মাম এর প্রেমিক হয়ে ….শুধু মাত্র প্রেমিক হয়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *